আমাদের চারপাশে মধুমাস জৈষ্ঠের
মৌ মৌ গন্ধ। বাজারে সুমিষ্ট ফল আম,
কাঁঠাল, লিচু, জামসহ প্রভৃতি রসালো ফল
এলক পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ফল
রসিকদের
কাছে সবচেয়ে পছন্দের ও প্রিয়
ফলটি হলো আম।
কিন্তু এখন বাজারে পাওয়া অধিকাংশ
আমের
মধ্যেই ব্যবহার করা হয় ফরমালিন ও
কার্বাইড
নামের রাসায়নিক পদার্থ। মূলত
আমকে সঠিক
সময়ের আগে পাকানো, আকর্ষণীয় রঙ ও
বেশিদিন পচনরোধ করার জন্যই এক
শ্রেণীর
অসাধু ব্যবসায়ী এই অনন্য
ফলটিকে বিষাক্ত
করে তুলছে। যা খেয়ে কিডনিসহ বিভিন্ন
প্রাণঘাতি রোগ ছড়াচ্ছে মানুষের মধ্যে।
এরপরও বাজারে চাইলে দেখে কেনা যায়
ফরমালিন ও কার্বাইডমুক্ত আম।
তবে তা চেনার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে।
ফরমালিন বা কার্বাইড দেয়া আম চেনার
উপায়:-
১. প্রথমেই লক্ষ্য করুন যে আমের
গায়ে মাছি বসছে কি না।
কেননা ফরমালিনযুক্ত
আমে মাছি বসবে না।
২. আম গাছে থাকা অবস্থায় বা গাছ
পাকা আম হলে লক্ষ্য করে দেখবেন
যে আমের
শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু
ফরমালিন বা অন্য
রাসায়নিকে চুবানো আম
হবে ঝকঝকে সুন্দর।
৩. কারবাইড বা অন্যকিছু
দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয়
মোলায়েম ও
দাগহীন।
কেননা আমগুলো কাঁচা অবস্থাতেই
পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়।
গাছপাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই।
৪. গাছপাকা আমের ত্বকের
রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ়
রঙ
হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারবাইড
দেয়া আমের
আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়,
কখনো কখনো বেশি দেয়া হলে সাদাটেও
হয়ে যায়।
৫. হিমসাগর ছাড়া আরো নানা জাতের
আম
আছে যেগুলো পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু
অত্যন্ত মিষ্টি হয়। গাছপাকা হলে এসব
আমের ত্বকে দাগ পড়ে। ওষুধ
দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ
ও
সুন্দর।
৬. আম নাকের
কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে কিনুন। গাছ
পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার
কাছে ঘ্রাণ
থাকবে। ওষুধ দেয়া আম
হলে কোনো গন্ধ
থাকবে না, কিংবা বিচ্ছিরি বাজে গন্ধ
থাকবে।
৭. আম মুখে দেয়ার পর যদি দেখেন
কোনো সৌরভ নেই, কিংবা আমে টক/
মিষ্টি কোনো স্বাদই নেই, বুঝবেন
যে আমে ওষুধ দেয়া।
৮. আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখেদিন।
এমন
কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল
করে না।
গাছপাকা আম
হলে গন্ধে মৌ মৌ করে চারপাশ। ওষুধ
দেয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবেই না।
লাইক ও শেয়ার করে আমাদের
সাথে থাকুন।
আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য।
ধন্যবাদ।
Post a Comment