ম্যাচের তিন মিনিটেই ফ্রি-কিক পেল আর্জেন্টিনা। দায়িত্ব বর্তাল আর্জেন্টিনা অধিনায়কের ওপর। মাপা শটে মার্কোস রোহা ব্যর্থ হলেন হেডে গোল করতে। বল চলে গেল বসনিয়ার সিয়াদ কোলাসিনাচের পায়ে। শুরুতেই আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। ৬৫ মিনিটে মেসির সেই গোল। গঞ্জালো হিগুয়েনের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে বসনিয়ার তিন ডিফেন্ডার কাটিয়ে রক্ষণভাগ ভেদ করে বসনিয়ার জালে বল জড়িয়ে দিলেন আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা।
৮৪ মিনিটে ভেদাদ ইবিসেভিচের শটটি চেষ্টা চালিয়েও আটকাতে পারলেন না আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক রোমেরো। ওই গোলে ব্যবধান কমাল বসনিয়া। ৭৭তম দেশ হিসেবে বসনিয়ার বিশ্বকাপ অভিষেকটা হলো পরাজয়ের অভিজ্ঞতা দিয়ে।
আর্জেন্টিনার পাসিং ফুটবলের বিপরীতে ইউরোপের চিরায়ত গতিশীল খেলার নির্দশন ধরে রাখার চেষ্টা করেছে বসনিয়া। তবে দলের অন্যতম ভরসা এডিন জেকো ছিলেন নিস্প্রভ। ভালোই আক্রমণ চালিয়েছিল সুসিচের দল। আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে বসনিয়া শট নিয়েছে ১৬টি। লক্ষ্যে শট ছিল ১১টি। আর্জেন্টিনার শট ছিল ১১টি। এর মধ্যে লক্ষ্যে ৫টি। রোমেরোর কয়েকটি সেভ ছিল অসাধারণ। কয়েকবার আক্রমণ চালিয়ে বসনিয়ার রক্ষণভাগ ভাঙতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
তবে সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিয়েছেন মেসি। ৯০ মিনিট খেলে মেসির পাস সংখ্যা ৬২, শট নিয়েছেন ৩টি। ম্যাচসেরাও তিনি। এ বিশ্বকাপে তারকা খেলোয়াড়েরা গোল পাচ্ছেন, মেসিও পেয়েছেন—এটিই আর্জেন্টিনা সমর্থকদের সবচেয়ে বড় স্বস্তিদায়ক খবর। বিশ্বকাপে ৬৩৫ মিনিট পর গোলের দেখা পেয়েছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। ১৯৫০ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এই প্রথম মারাকানায় বিশ্বকাপ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলো। আর সেটির কাব্যিক শুরু হলো মেসিদের হাত ধরেই।
সোর্সঃ প্রথম আলো
Post a Comment