১। সঙ্গে ল্যাপটপ আছে। বাইরে গেছেন। ভাবছেন আপনার ব্যাংকে কত ব্যালেন্স আছে তা একটু চেক করা দরকার। পেলেন ফ্রি ইন্টারনেট ওয়াই ফাই আছে এমন এলাকা। চেষ্টা করুন অন্তত এমন এলাকায় ব্যালেন্স চেক না করার। বাসায় যেয়ে করার চেষ্টা করুন। বলা হয়ে থাকে এমন পরিবেশে আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্যকে কিনা পাবলিকলি ছাড়ার ঝুঁকি নিলেন। সাইবার ক্যাফে যদি বসেন কাজ শেষে লগ আউট করতে কখনোই ভুলবেন না।
২। আপনার মেইলের স্প্যামে অপ্রয়োজনীয় / অপরিচিত মেইলের লিংকে ক্লিক করছেন তো একটা অহেতুক ঝামেলায় পড়েছেন। অনেকে বিরক্ত হয়ে আনসাবক্রাইব বাটনে ক্লিক করেন রেহায় পেতে। কিন্তু ফলাফল হতে পারে উল্টো। যারা স্প্যাম দিচ্ছে আপনাকে তারা বুঝে গেল যে আপনার ই-মেইল আইডিটা জীবন্ত এবং কোন হিউম্যানই এটা ব্যবহার করছে। বরং ডিলিট করে দিতে পারেন।
৩। অনেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে এতটাই আসক্ত যে তারা কখন কি করছে সবকিছু ফ্রেন্ডদের সঙ্গে অপরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করছেন । বলছেন now@ ...city। আপনি যদি শহরের বাইরে যান, বাড়ি থেকে দূরে যান তবে সেটা ইন্টারনেটে না ছড়ানোই ভাল। এতে আপনার শত্রুদের কাছ থেকে থাকলেন কিছুটা নিরাপদ।
৪। আমাদের জীবনের সবকিছুর সঙ্গেই ই শব্দটি যেন জড়িয়ে গেছে। ই কমার্স, ই ডেটিং, আরও অনেক কিছু। ইন্টারনেটে অপরিচিতদের সঙ্গে সম্পর্ক করতে যেয়ে কখনই উচিত নয় বাইরে কোথাও দেখা করতে যাওয়া। যদি যেতেই হয় তবে লোক সমাগম আছে এমন জায়গায় যাওয়া উত্তম।
৫। কাজের তথ্য, কর্মস্থলের তথ্য ভার্চুয়াল জগতে ছড়িয়ে না রাখাই ভাল। বলা তো যায় না কোথায় আপনার প্রতিযোগী ওত পেতে আছে আপনার সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য।
৬। অসুস্থ অবস্থায় নেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেসবুক, টুইটার এগুলোতে বেশিক্ষণ থাকলে কর্মস্থলে বসের নিকট আপনার একটা খারাপ ধারণা তৈরি হতে পারে।
৭। বিরত থাকুন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লোভনীয় অফার দেখে ই-মেইল ও ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে রেজিস্টার না হওয়ার।
৯। কোথাও পাসওয়ার্ড দিলে তা ১২৩৪ টাইপের না দিয়ে দিন কোন শক্ত ও জটিল সংখ্যা ও অক্ষরের সমন্বয়ে যাতে অন্য কেউ ভাঙতে না পারে।
ইন্টারনেট থেকে কোন কিছু ডাউনলোড করতে ইনস্টল করতে
i agree- তে ক্লিক করার আগে পুনরায় পড়ে নিন আপনি আসলে কি করতে যাচ্ছেন।
সর্বোপরি কাজ ব্যতীত আমাদের অহেতুক ইন্টারনেটে সময় না দেয়াই ভাল।
সংগ্রহঃ ইন্টারনেট
Post a Comment